সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মো. ফয়সাল আহমেদ সোহাগ নামে একটি প্রোফাইল থেকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। এই স্ট্যাটাস ঘিরে চলছে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমানে ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে স্টাটাস দেওয়া কিংবা কমেন্ট করার অভিযোগে মাঝেমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এ নিয়ে হামলা, ভাংচুর, বিক্ষোভ মিছিল এবং পরিশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে ঘটনার আপাত সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু ঘটনার সমাপ্তি ঘটলেও অসাম্প্রদায়িক চিরায়ত বাংলার সম্প্রীতির বন্ধনে ফাটল ধরানোর অপচেষ্টায় একটি পক্ষ যেন সবসময়ই ব্যস্ত থাকে।

এবার একটি ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুলের ছাত্র মো. ফয়সাল আহমেদ সোহাগ। ফেসবুকে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানা যায়, তার বাড়ি গাজীপুরে। 

মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফয়সাল আহমেদ সোহাগ তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে হিন্দুধর্মের দেবতা বিষ্ণুর মাথার উপর পা দেওয়া একটি ছবি শেয়ার করেন

ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “হিন্দুরা আমাদের মক্কার উপরে পা তুলেছে। আমরা কি পারিনা তাদের ভগবানের কপালে লাথি দিতে? মুসলিম ভাইয়েরা কথা বলেন ঠিক কিনা।”



এমন ধর্মীয় অবমাননামূলক পোস্ট দেখে হিন্দু সম্প্রদায়ের অগণিত ফেসবুক ব্যবহারকারী তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, যতদূর জানি মক্কা নগরীতে তো সকল অমুসলিমের প্রবেশই নিষিদ্ধ। সেখানে মক্কার উপরে কোনো হিন্দু পা দেয় কীভাবে? এ ধরনের পোস্ট বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির সংস্কৃতিকে হুমকিতে ফেলবে। 

এই ঘটনায় বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় ওই ছেলেটির নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাদেশদর্পণ.কম