কুড়িগ্রাম: ফুলবাড়ীতে এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। আহত ১০ জনের মধ্যে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মে) দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুরুষাফেরুষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বিগত এক মাস আগে উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের মৃত সুরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে বিপুল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে তার আপন ভাতিজা নিখিল চন্দ্র রায়ের জমির সীমানাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। ওই ঘটনায় ভাতিজা নিখিল চন্দ্র রায় আহত হয়। ওই ঘটনার সালিশিকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বোমভোলার ছেলে সুজন চন্দ্র রায়ের সাথে মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান আতার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং দুজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এই ঘটনার জেরে বুধবার (১৩ মে) দুপুরে দুজনের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হয় এবং উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হয়। এখানে আহত ১০ জনের ভিতর ৭ জন হিন্দু ও ৩ জন মুসলমান। জানা গেছে, ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল হিন্দু বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছিল।

প্রথম পক্ষের আহতরা হলেন, বোমভোলা চন্দ্র (৪৫) তাঁর ছেলে সুজন চন্দ্র (১৮), রত্না রানী(৩৭), মিলন চন্দ্র (১৪), তুষার চন্দ্র (১০), সুরেশ চন্দ্র (২৭) ও বীরেন্দ্রনাথ (৫৭)

দ্বিতীয় পক্ষের আহতরা হলেন, আতাউর রহমান আতা (৪৮), রবিউল ইসলাম (২৫) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৪৫)

উল্লেখ্য, আতাউর রহমান আতা ও তার দলবল নিয়ে হিন্দু বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে। এই বাহিনী এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আবারো হামলা চালাতে পারে এই ভয়ে তারা পালিয়ে দিন কাটাচ্ছে।

খবর পেয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বন্ধন ও ফুলবাড়ী থানার এ এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন গুরুতর আহত নারী ও শিশুসহ হিন্দু পরিবারের পাঁচ জনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং উভয় পক্ষের স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে!

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।