বাঘে সিংহে লড়াই...

কে জিতবে, যদি বাঘ আর সিংহের যুদ্ধ বাধে? উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ভারতের বরোদার রাজা বাঘে আর সিংহে যুদ্ধ বাধিয়েছিলেন। রাজা বাজি ধরেছিলেন সিংহের পক্ষে। হেরে গিয়েছিলেন ৩৭ হাজার রুপি। তারপর এই ২০১১ সালের ঘটনা—তুরস্কের আংকারা চিড়িয়াখানায় একটি বাঘ একটি সিংহকে হত্যা করেছিল।
.
বাঘের আকার কিন্তু সিংহের চেয়ে ছোট, অথচ ওজন অনেক বেশি। ওজন বেশি আকার ছোট, এর মানে বাঘের পেশির ঘনত্ব সিংহের তুলনায় অনেক বেশি। আর বেশি ঘনত্বের পেশি মানে বেশি শক্তিশালী।

সাইবেরিয়ান বাঘের ওজন ৩৬০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে, যেখানে বৃহদাকার আফ্রিকান সিংহের ওজন হয় ২৫০ কেজি।
.
 বাঘের পা সিংহের চেয়ে ছোট। যার ফলে তার রয়েছে নিম্ন সেন্টার অফ গ্রাভিটি।  যার ফলে বাঘ নিচু হয়ে আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এবং অধিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

উচ্চতা কম হলেও এটি লাফিয়ে উঁচু হয়ে আক্রমণ করতে পার, বাঘের মত সিংহ অগ্রভাগ উঁচু করে লড়াই করায় অতটা এক্সপার্ট নয়।
.
বাঘেরা সাধারণত একাকী শিকারে অভ্যস্ত, অন্যদিকে সিংহরা দল বেধে। ফলে বাঘের লড়াই বিষয়ক অভিজ্ঞতা একটি সিংহের চেয়ে বেশি। একই সাথে বাঘ সিংহের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক। তারা আক্রমণের জন্য মনস্থির করলে সাথে সাথেই ঝাঁপিয়ে পড়ে, কিন্তু সিংহ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে আর বুঝেশুনে আক্রমণে অংশ নেয়।
.
বাঘ সিংহের লড়াইয়ে সিংহের জয়ের অনুপাত মাত্র ১:২৫, অর্থাৎ প্রতি ২৫ টি লড়াইয়ের একটিতে সিংহ জয়লাভ করে।
.
 তদুপরি সিংহের মস্তিষ্কের আকার বাঘের চেয়ে ছোট।গবেষণার ফল বলছে, বাঘের মস্তিষ্ক সিংহের চেয়ে ১৬ শতাংশ বড়।
.
তাই আপেক্ষিক আর বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বলা যায় যে বাঘ আর সিংহের লড়াইয়ে বিজয় মুকুটটি বাঘের মাথাতে থাকবে।