ট্রাজেডি

আধ-ভাঙা শরীর আর
শরীরের ভিতর থেকে ঘুণের ধূলো ওড়ে,
ক্লান্তিহীন নীলাভ মাছিদের ব্যস্ত ডানায়
অবাঞ্চিত মূর্ছনা আজ!

ক্রমাগত এফোঁড়-ওফোঁড় করা নকশিকাঁথার
বুকে-পিঠে বেদনার মতো ফুল আঁকা হলে
শিয়রে জমাট বাঁধে
যাবতীয় শব্দহীন বিহ্বল শব্দের ঢেউ।

পুরাতনী প্রেমের খেরো খাতায়
তোমাদের বছুরে নাম অবলীলায় মুছে গেলে
নমনীয় মগডাল জুড়ে আবারও স্বর্ণলতার কোলাহল।
খণ্ডগ্রহণে রুগ্ন জ্যোৎস্না সূতিকা নদীটির উদাসী চরায় 
হামাগুড়ি খায় নাবালক উচ্চাশা যত।

কোন সুদূরের
সোনাঝরা পৌষের এক মায়াবী টুপটাপ রাতে
খেলাচ্ছলে মাখিয়েছিলে
অক্ষয় আঁধার আর
সর্বাঙ্গ জুড়ে অঢেল ফরমালিন
মখমলি ভালোবাসার মতো।

ফলত,আজও একই আছি
অবিকল জীবিতের সাজে।
পচন-রহিত বুকের খাঁচায় ঘুণাক্ষরে
লেখা থাকে যাবতীয় অন্তরঙ্গ পাঁচালীর গান।

কবি | সুমিতা মুখোপাধ্যায়, কলকাতা