বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য জোরালো প্রচেষ্টা চলছে। এই গবেষণায় এবার বড় ধরণের সাফল্য অর্জনের দাবিদার হতে পারে বাংলাদেশ।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রথম আবিষ্কার করার দাবি করেছে দেশের অন্যতম ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত ভ্যাকসিন পশুর শরীরে প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। 

বুধবার (০১ জুলাই) গ্লোব বায়োটেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সাফল্যের দাবি জানায়। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে তারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফল হয়েছেন। প্রাণী পর্যায়ে প্রয়োগ করে তারা সাফল্য পেয়েছেন। মানবদেহেও এই ভ্যাকসিন সাফল্যের সাথে কার্যকর হবে বলে তারা আশা করছেন।

ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা এখন বিষয়টিতে অগ্রসর হতে সরকারের সঙ্গে কাজ করব। এবার সরকারের দেয়া দিকনির্দেশনা মোতাবেক পরের পদক্ষেপ নেব। 

গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের মোট ৫,৭৪৬টি জিনোম সিকোয়েন্স পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৭৬টি জিনোম সিকোয়েন্স জমা পড়েছে শুধু বাংলাদেশ থেকেই। বায়োইনফরম্যাট্রিক্স টুল প্রয়োগ করে এই সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে ভ্যাকসিনের টার্গেট নির্ধারণ করা হয় বলে জানায় গ্লোব বায়োটেক। এর ফলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক এলাকায় এই ভ্যাকসিন যৌক্তিভাবে কার্যকরী হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির দাবি।

এই টার্গেট সিকোয়েন্স ইতোমধ্যে এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ (যুক্তরাষ্ট্র)-তে জমা দেওয়া হয়েছে। এনসিবিআই এরইমধ্যে এটি স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ করেছে। 

এখন এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অপেক্ষা। আর এজন্য সরকারের অনুমতি ও সহযোগিতা কামনা করছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।