ভীমাশঙ্কর মন্দিরটি ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি প্রাচীনকালে ডাকিনী দেশ নামে পরিচিত ছিল। ভীমশঙ্কর মন্দিরটি পুনে থেকে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ দূরে জঙ্গল সমাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত।

 মহাদেবের এই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম হচ্ছে-“ভীমশঙ্কর”। এই “ভীমশঙ্কর”নামের পিছনে রয়েছে এক পৌরাণিক উপাখ্যান-অনেক আগে ভীম নামক এক অসুর সহ্যাদ্রি বাস করতো। তাঁর পিতা ছিল না জন্ম থেকেই। কিন্তু সে যখন বড় হয় তখন সে তার মা কর্কটির মুখ থেকে জানতে পারে তার পিতার নাম কুম্ভকর্ণ এবং স্বয়ং বিষ্ণু তার পিতৃহন্তা। ভীম তপস্যা করে ব্রহ্মাকে তুষ্ট করে এবং অজেয় হয়ে উঠে। ভীম বৈষ্ণব ও ব্রাহ্মন হত্যা করতে শুরু করে। অবশেষে শিবভক্ত কামরূপেশ্বরকে যুদ্ধে পরাজিত করে কারাগারে নিক্ষেপ করল দৈত্য ভীম।

ভীম শিব পূজা ত্যাগ করে তাকে আরধনা করার কথা বললে কামরূপেশ্বর অগ্রাহ্য করে। এতে ভীম রেগে কামরূপেশ্বরের শিরচ্ছেদ করতে গেলে ভক্তের আহ্বানে শিব উগ্রমূর্তিতে প্রকট হয় এবং শিব হুংকার করে। শিবের হুংকারে ভীম পুরে ছাই হয়ে যায়। ভীম বধের পর শিবের শরীর থেকে নির্গত হয়ে জন্ম নেয়  ভীমারথি বা ভীমা নদী।

এরপর থেকেই ভক্তরা অকালমৃত্যু ও গ্রহবাঁধা নিবারণ করার জন্য ভীমাশঙ্করের আরাধনা করতে শুরু করেন।