অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ বলে দাবি গবেষকদের। এটি মানবদেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে সফল হয়েছে যা করোনাভাইরাস মোকাবেলার প্রধান অস্ত্র। 

সোমবার (২০ জুলাই) ভ্যাকসিনটির প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল হাতে আসে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে জানানো হয়, এই ভ্যাকসিনটি মানুষের দেহে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি ও শ্বেতরক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে এবং করোনাভাইরাসের সাথেও লড়াই  করতে পারে। এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের ১৪ দিন পর দেহে শ্বেত রক্তকণিকা এবং ২৮ দিন পর বাড়ছে অ্যান্টিবডি। কিন্তু তৈরি হওয়া  অ্যান্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা কতদিন মানুষের শরীরে টিকে থাকছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায় নি। তাই, ভ্যাকসিনটির আরো পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলেও জানান গবেষকরা।

অক্সফোর্ড রিসার্চ গ্রুপের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ভ্যাকসিনের ফলাফলটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ভ্যাকসিনটির প্রতিক্রিয়া করোনা মোকাবেলা করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিনটি ১ ডোজ প্রয়োগ করার পর ৯০ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশের ২ ডোজ লেগেছে। তবে ভ্যাকসিনটি সর্বসাধারণের জন্য সরবরাহ করার আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। ভ্যাকসিনটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করে প্রাথমিক ফলাফলে এমনটা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়নি।

‘চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল’ ট্রায়ালের জন্য এটি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার, ব্রাজিলে ৫ হাজার ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ হাজার মানুষের উপর প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনটি নেওয়া কিছু ব্যক্তিকে ইচ্ছে করে করোনা সংক্রমিত করা হবে। তবে সে ক্ষেত্রেও কিছু বিধি নিষেধ আছে। এই পরীক্ষার পরই বাজারে আসবে এই ভ্যাকসিনটি।  

গবেষকদের প্রত্যাশা, এ বছরের শেষে বিশ্ব জুড়ে পাওয়া যেতে পারে এই ভ্যাকসিন।