নেত্রকোনা: ওজান থেকে নেমে আসা তৃতীয় দফায় পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। আগামী রোপা আমন মৌসুমে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের বীজতলা। কৃষকরা দাবি করছেন দেড় থেকে দুই হাজার হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে রোপা আমন আবাদে মাত্র ২৫৬ একর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ থেকে ১৫ একর জমিতে বীজতলা রোপনের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  

সরেজমিন দেখা গেছে, সুনামগঞ্জের সুরমা ও ধনু নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার কলমাকান্দাসহ চারটি উপজেলার বেশ কিছু নীচু এলাকা। আর এসকল এলাকায় পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষের মাঝে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। যে সকল কৃষক রোপা আমন মৌসুমের জন্য দেশী জাতীয় ভালো ফলনশীল বীজতলা রোপন করেছিলেন।

তবে এসকল কৃষকের মাঝে স্বল্প মেয়াদী বীজ দেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষকরা বলছেন সরকারী বরাদ্দ অপ্রতুল থাকে। তারমধ্যে আবার সকল কৃষক সরকারী বরাদ্দ পায়ও না। নামে মাত্র পরিচিতরা কিছু পান। সে কারণে কৃষকের (বীজগাছ) জালাপাট কিনে পুনরায় জমি চাষ করতে হবে।তিনবারের ঢলের পানিতে তাদের জালাপাট অর্থাৎ বীজতলা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় এ বছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১ লক্ষ ৪৪ হাজার হেক্টর। এই জমি রোপন করার জন্য ৭১৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা রোপনের মধ্যে ৬ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে। সর্বমোট বীজতলা স্ববজিসহ অন্যন্য ফসল মিলিয়ে ৩৫০ হেক্টর জমি প্লবিত হয়েছে। তারমধ্যে রোপা আমন ২৫৬ হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়েছে বলব না প্লাবিত হয়েছে। ফলে ১৫ একর জমিতে বীজতলা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও জেলার ২৪০ টি পরিবারকে পুষ্টি চাহিদা কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন জাতে স্ববজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নের ৩২ জন পরিবারকে দেয়া হবে এসকল বীজ সার সহ উপকরণ।  

পাশাপাশি বন্যা প্রবন এলাকা গুলোতে স্বল্প মেয়াদে নাভি জাতের ফসল করতেও কৃষকেদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  

নয়ন বর্মন।নেত্রকোনা প্রতিনিধি,বাংলাদেশদর্পণ.কম