নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।  ঘটনার পরে শিবপুর মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। 

অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের পিতামৃত আতব আলীর ছেলে নূরুল আমিনের বসতবাড়ির জমির সীমানা নিয়ে  বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসতাছে। এই নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে নিয়ে একাধিকবার গ্রামীণ সালিশ দরবার হয়েছে। সালিশ দরবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নজরুল ইসলাম বসত ঘর নির্মাণ করতে চাইলে এতে বাঁধা প্রদান করে নূরুল আমিনের ছেলে সোহাগ। এই বিরোধের জের ধরে তর্কবির্তকের এক পর্যায় নূরুল আমিন ও তাঁর ছেলে সোহাগ ও ফয়সাল, আয়নাল হক ও তাঁর ছেলে এনামুল  আতর্কিত হামলা চালায় নজরুল ইসলামের পরিবারের উপর । এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহতরা হলেন মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৫), জাকির হোসেন (৩৭),মনির হোসেন (৩৫), মৃত হারুনুর রশিদের স্ত্রী খোদেজা খাতুন(৭০), আমজাদের স্ত্রী রানী বেগম(৩৫), জাকির হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (৬), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সাদিক হোসেন(৪)। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। আহত  নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা কিছু বুঝে উঠার আগে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে জখম করেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদল মিয়া জানান যে, আমার সামনেই তর্ক-বিতর্কে এক পর্যায়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে আমি উভয় পরিবারকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। এই বিষয়ে জানার জন্য  নুরুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ছেলে সোহাগের সাথে মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে সে অপরপ্রান্ত থেকে লাইন কেটে দিয়েছেন।