হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সরকারিভাবে মাকালকান্দি গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন এবং একমিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচীর শুরুতেই স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করেন হবিগঞ্জ-২(বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের এমপি, প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পরিষদের পক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশ বানিয়াচং থানার পক্ষে অফিসার ইনচার্জ ,আওয়ামীলীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাকালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা । 

পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ-২(বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মাষ্টার, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, সাকেব মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল খালিক, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, ৬নং কাঁগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মোত্তালিব, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক সাইম হাসান পুলক, ছাত্রলীগ নেতা সাকিব সাব্বির প্রমুখ।       

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ১৮ আগষ্ট পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় চালিয়েছিল বর্বরোচিত হত্যাকান্ড। দেড় শতাধিক নারী পুরুষ এমনকি কোলের শিশুকেও হত্যা করেছিল হায়েনারদল। লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের মহাউৎসবে মেতেছিল রাজাকারের দল। ধর্ষণ করেছিল অসহায় অবলা নারীদের।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ-২(বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন বলেছেন, বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের সরকার। আর এই সরকারের সু-যোগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান বলেই পাকিস্তানীদের দুসর যোদ্ধাপরাধি রাজাকার আলবদরদের বিচার ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। মাকালকান্দি গণহত্যার সাথে জড়িত যারা এখনও বেঁচে আছে তাদেরকেও বিচারের কাটগড়ায় দাড় করানো হবে। এছাড়া গ্রাম বাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে আরো বড় পরিসরে  স্মৃতিসৌধ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অন্যত্র সড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেছেন।