করোনা শনাক্তকরণ র‍্যাপিড কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব  সমর্পন করে তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন।

বিজন কুমার শীল ৩ বছরের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। গত ১ জুলাই তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে তিনি ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করলে তা এখনো মঞ্জুর হয়নি। বর্তমানে তিনি ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

বিজন কুমার শীল জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হলেও তিনি সিঙ্গাপুরে বসবাস করতেন। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসাবে ৩ বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন।

এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরি বলেছেন, বিজন কুমার শীল এই সময়ে চলে গেলে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে। তিনি আরও বলেন, নাগরিকত্ব জটিলতায় গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেনের কাজ অনেক পিছিয়ে গেছে। এটি করা না গেলে গণস্বাস্থ্যের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আর সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে আরও অনেক বেশি। সরকার বিদেশি কিট আমদানির অনুমতি দিলেও আমাদের কিটের অনুমতি দিচ্ছে না। 

জাতীয় ডেস্ক | বাংলাদেশদর্পণ.কম