সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে "করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়" গ্রুপ খুলে  চলছে  শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা  জীবনের ঝুকি নিয়ে পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য এ আন্দোলন করছে।

তারা আন্দোলনের কোন পন্থা না পেয়ে এ ফেসবুকেরর এ গ্রুপকে ব্যাবহার করছে। বর্তমানে এ গ্রুপে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৪৪ জন সদস্য রয়েছে।বর্তমানে বিশ্বে সব কিছু বন্ধ করা হলেও বন্ধ করা হয়নি এইচএসসি পরীক্ষা।বর্তমানে শিক্ষার্থীরা আছে মানসিক চাপে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তারা কোন পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না শিক্ষা মন্ত্রীর কাছ থেকে।

কখনো শিক্ষার্থীরা শুনছে এই পরীক্ষা হবে আবার শোনা যায় পরীক্ষার সময় পরিবর্তন হবে। ফলে তারা মানসিক বিপর্যয়ে আছে।এদিকে প্রতিনিয়ত করোনার আক্রান্ত হয়ে কোনা না কোন শিক্ষার্থীদের আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু হচ্ছে। তাঁরা সংবাদে শুনছে প্রতিনিয়ত বাংলেদেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা।

এমত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে চাচ্ছে না। তাই তাদের মতামত প্রকাশ করছে "করোনার মধ্যে এইচএসসি নয়" গ্রুপে বিভিন্ন রকমের স্টাটাস দিচ্ছে,কেউ লিখছে, পরীক্ষার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হলে বাকি পরীক্ষা দিবো কেমনে? করোনার মধ্যে পরীক্ষা হলে পরীক্ষার কেন্দ্রে যাতায়াতের সময় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। পরীক্ষা শেষে সকলের একসাথে বের হওয়ার চাপে  আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা।

আবার কেউ লিখছে, যখন দেশে করোনা মৃত্যুর সংখ্য শূন্য থাকবে তখন দিবো পরীক্ষা। মোঃ সামিম নামের এক ছাত্র লিখেছে, বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের করোনা  টেষ্ট করা হলে আমরা পরীক্ষা দিবো। এরকম প্রতিদিন গ্রুপে ২০০ উপরে স্টাটাস দেয় গ্রুপে।

এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে রাজি নেই ৯৫% শিক্ষার্থী। প্রতিটি শিক্ষার্থীই এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত  তাই সকলের কথা বিবেচনা করে একটা সিদ্ধান্ত চায় শিক্ষার্থীরা।