সাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল ভেঁড়িবাঁধ অপসারণের দাবিতে ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক গ্রামের মানুষের দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা টু যশোর সড়কের সার্কিট হাউজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে লাবসা ইউপি মেম্বর গোলাম কিবরিয়া বাবুর সভাপতিত্বে বল্লী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, লাবসা ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাপ্পী, ৬নং ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ইউপি মেম্বর মনিরুল ইসলাম মনি, ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান, আবুল বাসার সহ ৪ ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে লাবসা ইউপি মেম্বর গোলাম কিবরিয়া বাবু সহ বক্তারা জানান পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে প্রাণ সায়ের খাল খননের আগেই খালে বেঁড়িবাধ দেওয়ায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন লাবসা, বল্লী, ঝাউডাঙ্গা ও আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের লক্ষাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি, মৎস্য ঘের, পুকুর, বিল পানিতে তলিয়ে গেছে। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী রাখার কোন জায়গা নেই। পানিতে তলিয়ে গেছে পাকা রাস্তা। ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ৪টি ইউনিয়নের প্রায় সকল গ্রামের মানুষের। মানবেতর জীবন যাপন করছে জলাবদ্ধতায় পানিবন্দী মানুষেরা। এছাড়াও জলাবদ্বতা সৃষ্টি হয়েছে পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকাসহ পৌর কয়েকটি নিন্ম অঞ্চল। বর্ষা মৌসুমে খাল খননের নামে প্রাণসায়ের খালে ভেঁড়িবাঁধ দেওয়ায় ৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক গ্রামের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে।


প্রাণসায়ের খাল ভেঁড়িবাঁধ দেওয়ার কারণে পানিবন্দি হয়েছে লাবসা, আগরদাড়ী, বল্লী ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মানুষ। প্রাণসায়ের খাল ভেঁড়িবাঁধ অপসারণ না করা পর্যন্ত এসব ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ রয়েছে আতঙ্ক। প্রাণসায়ের খাল ভেঁড়িবাঁধ অপসারণ না হলে পানিবন্দি মানুষের ঘরবাড়ির ছেড়ে রাস্তায় বসবাস করতে হবে। আরও চরম দুর্ভোগে পড়বে এসব ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ । প্রাণসায়ের খাল ভেঁড়িবাঁধ অপসারণ হলে তাহলে এসব ইউনিয়নে জলাবদ্বতা থাকবে না। অনতিবিলম্বে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর কছে প্রাণ সায়ের খালের উপর দেওয়া ভেঁড়িবাঁধ দ্রুত অপসারণের জোর দাবি জানান মানববন্ধন থেকে এসব ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ।