নেত্রকোনা : স্থানীয় ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে নিজের জায়গা দখল নিতে পারছেনা নেত্রকোনার বারহাট্টার এক ভূক্তভোগী  পরিবার। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। শুধু তাই নয় গ্রামের অনেকেই তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। এলাকার কোন ব্যক্তি জমি কেনাবেচা করলেই তাদেরকে দিতে হয় চাঁদা। চাঁদা না দিলে মামলা হামলাসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষদের।

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাউশী ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামের আখিমনি। কিছুদিন পূর্বে একই গ্রামের বিমল রঞ্জন সরকারের নিকট থেকে ৫০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে দলিলাদি সম্পন্ন করেন। এর পর থেকেই স্থানীয় ভূমিদস্যু হিমেল আহমেদের নেতৃত্বে শুরু হয় হামলা মামলা ও নির্যাতন। তাদের অত্যাচারে নিজ জমি দখল নিতে পারছেনা বলে জানায় ভূক্তভোগী পরিবারটি।
এদিকে জমি বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন জমি বিক্রেতা বিমল রঞ্জন সরকার। ভূমিদস্যু হিমেল গংদের নিকট নাম মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি না করায় তার নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যাপক হয়রানী করছে। শুধু তাই নয় ভূমিদস্যুদের দেয়া মেরে ফেলার হুমকির ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে বসবাস করছেন তারা।

জমি বিক্রেতার ছেলে  হারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি তত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার সরকার জানান, ‘হিমেল গংদের নিকট জমি বিক্রি না করায় আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। অথচ জমি বিক্রির আগে তারা আমাদের কিছুই জানায়নি। এতে করে তাদের ভয়ে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বারহাট্টা শহরে বসবাস করছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। কর্তৃপক্ষের নিকট আমি এর উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।’

অভিুযুক্ত হিমেলের সাথে কথা হলে তিনি হামলা মামলার কথা অস্বীকার করেন। কোন দলিলাদি ছাড়াই তাদের কাছে মৌখিকভাবে জমি বিক্রি করেছে বলে দাবী তার। এ নিয়ে কোর্টে মামলা করার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন তিনি।

 

স্থানীয় বাউশী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তারেক হাবিব জানান, হিমেল গংরা হচ্ছে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ। এলাকায় কোন জমি কেনা বেচা করলে ক্রেতা বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে ওই ভূমিদস্যুদের চাঁদা দিতে হয়। তাদের অত্যাচারে এলাকার অনেক পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। এর উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন তিনি।

বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন,এমনিই প্রত্যাশা ভূক্তভোগীদের।

নয়ন বর্মন, নেত্রকোনা | বাংলাদেশদর্পণ