শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি অবৈধভাবে বে-দখলের পায়তারা " টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ডুবাইল মৌজার বাজার সংলগ্ন ৫৩১ নং খতিয়ানের ৫৩৫ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমি সুভাসিণী দেব্যার নামে ও ৫২৫ নং খতিয়ানের ৫৩৫ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমি হিমাংশু বালা দেবীর নামে নির্দিষ্টকরণ।

এতে প্রতিয়মাণ হয় মোট ৮৪ শতাংশ জমি দুই সহ- অংশীদারদের দুই খতিয়ানভূক্ত ও একই দাগভূক্ত জমি চিহ্নিত করা আছে। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পযর্ন্ত সুভাসিণী দেব্যার নামের ৫৩১ নং খতিয়ানের ৫৩৫ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমি সুভাসিণী দেব্যার ওয়ারিশান হিসেবে মঞ্জু রাণী দেবী স্বত্ত্বদখল জোরদার করা সহ লীজমানি হালনাগাদ পরিশোধ করেছে। উল্লেখ্য যে, গেজেট অনুযায়ী এই জমিটি খ-তফসীলভূক্ত হওয়ায় যা-কিনা ওয়ারিশান হিসেবে মঞ্জুরাণী দেবী দখল ও মালিকানা প্রমানের ক্ষেত্রে একমাত্র দাবীদার।

মালিকানা প্রমাণস্বরুপ মঞ্জু রাণী দেবীর বেশ কিছু ডক্যুমেন্ট আছে। তার মধ্যে হলো:-ভূমি অধিগ্রহণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদানকৃত টাকা উত্তোলনের নোটিশ, ওয়ারিশান সনদ,ROR,মাঠ পর্চা, গোপালপুর পৌরসভা কর্তৃক শনাক্তকরণ,এই দাগের জমির উপর পৌর ট্যাক্স প্রদানের রিসিট সহ আরো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে বে-আইণী ভাবে ডুবাইল আদর্শ গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম দিয়ে ঐ ৫৩১ নং খতিয়ানের ৫৩৫ দাগভূক্ত জমি থেকে ১০ শতাংশ জমি জবরদখলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে মঞ্জু রাণী দেবী প্রায় তিন মাস আগে গোপালপুর এসিল্যান্ড অফিসে এসিল্যান্ড অফিসার বরাবর এই ৫৩১ নং খতিয়ানের ৫৩৫ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমির উভয়ের জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই ও সরজমিনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মীমাংসার জন্য আবেদন করেছেন। এখনো এই বিষয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি। ডুবাইল আদর্শ গণ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লীজমানি পরিশোধের যে কাগজপত্র উপস্হাপন করেছে সেই লীজমানি প্রদানের রিসিটে এই ৫৩৫ নং খতিয়ানের ৫৩৫ নং দাগ উল্লেখ করা নেই। তবুও ডুবাইল আদর্শ গণ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে তারা এই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোর পূর্বক দখলের পায়তারা করেই যাচ্ছে।

এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে সরজমিনে তদন্তপূর্বক ও জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে মীমাংসা করা অতীব জরুরি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এমনকি এই জমি সংক্রান্ত সমস্যাটির দ্রুত সমাধান না করা হলে হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবারের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সহ ঐ ভূক্তভোগী হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।