শৈল্পিক কারুকাজ আর অপূর্ব নির্মাণ শৈলীতে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নবনির্মিত শ্রী শ্রী শ্রীমঙ্গলেশ্বরী কালি মন্দির। পুরো মন্দিরটিতে দেয়া হয়েছে লাল ও সাদা রং। আর কারুকাজ গুলো ফুটিয়ে তুলা হয়েছে সোনালী ও ব্রোঞ্জ রঙে।

মন্দিরটি দেখলে মনে হয়, যেন রক্ত জবা ফুটে আছে। পাঁচ স্তর বিশিষ্ট এই মন্দিরটি দেখা যাবে শহরের চৌমুহনা থেকে কলেজ সড়ক হয়ে একটু এগিয়ে রাস্তার বাম পার্শ্বে। মন্দিরের প্রধান ফটক পেরিয়ে ভেতরে রয়েছে আরেকটি ছোট ঘর। সেখানে রাখা হবে কালি মূর্তি। এই ঘরে সিমেন্টের কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে কালি মায়ের আসন। সোনালী রঙ শোভিত আসনটি নজর কাড়বে যে কারো। রয়েছে অত্যাধুনিক ঝাড় বাতি ও আলোকসজ্জা। মন্দির পরিচালনা কমিটি মনে করেন, শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নয়, এই মন্দিরের সৌন্দর্য আকৃষ্ট হবেন এ উপজেলায় ঘুরতে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও। মন্দির নির্মাণ কমিটির সদস্য দেবাশীষ সেন জানান, এ উপজেলায় এটাই সব থেকে ব্যয় বহুল একক মন্দির। এই মন্দির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। ২০১২ সালে মন্দিরটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।

মন্দিরটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্দিরের প্লেন, ডিজাইন ও নির্মাণকাজ তদারকি করেন প্রকৌশলী নিশিত রঞ্জন দত্ত পুরকায়স্থ। তিনি জানান, ১৩০০ বর্গফুট জায়গার উপর এই মন্দির নির্মাণ করা হয়। মন্দিরের উচ্চতা ৪৮ ফুট। প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য মন্দিরের চারদিকে পাঁচটি ফটক রয়েছে। মন্দিরটি নির্মাণও করা হয়েছে পাঁচটি স্তরে। রয়েছে ছোট বড় পাঁচটি চুড়া। কারুকাজে রয়েছে জবা ফুল, বেলপাতা ও স্বস্তিকা। কালি মাতাকে প্রদক্ষিণের জন্য মূল মন্দিরের ভেতরে রাখা হয়েছে ফাঁকা বারান্দা। মেঝেতে দেয়া হয়েছে মার্বেল পাথর। মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. হরিপদ রায় বলেন, এই কালি বাড়িতে মন্দির কমপ্লেক্স গড়ে তুলা হবে। তার জন্য মাস্টার প্ল্যান করা আছে।

নবনির্মিত কালি মন্দিরের পার্শ্বেই দুর্গা মন্দির করা হবে। এর পাশে হবে শিব মন্দির, ভোগ মন্দির ও আবাসন মন্দির। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জাতি ধর্মের দর্শনার্থীরা এসে প্রার্থনা ও মন্দির কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

লেখা ও ছবি: ফেসবুক হতে সংগৃহীত