ছিলেন সম্মুখ যুদ্ধা। রাইফেল হাতে খতম করেছেন পাক সেনাদের । রয়েছে ভারত সরকার প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং সনদ। অপেক্ষায় কেটে গেছে পঞ্চাশ বছর কিন্তু পাওয়া হয়নি মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। 

ঘটনাটি আগৈলঝাড়া উপজেলার পূর্ব-বারপাইকা গ্রামের হালদার বাড়ির। যতীন্দ্রনাথ হালদার নামের ঐ ব্যক্তি ছিলেন সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা। সমবয়সী সকলে যখন মৃত্যুভয়ে ভারতে পাড়ি জমান তখন মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে তিঁনি থেকে যাননিজ দেশে। অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধে। রাইফেল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হয়, সহযোদ্ধারা সবাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় কিন্তু শত চেষ্টা করেও তার কপালে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে ঘটে গেছে জীবন অবসান। অতৃপ্ত থেকেই পাড়ি দিয়েছেন পরপারে। বিধবা স্ত্রী ঘুরছেন বিভিন্ন জনের কাছে। অনুরোধ করছেন তাঁর স্বামীর রাষ্ট্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। তাঁর আকুতি, জীবদ্দশায় তো পেলেন না, মৃত্যুর পরে হলেও তার স্বামী যেনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিটুকু পান।