নেত্রকোনা:কুমিল্লা,নোয়াখালী,চাঁদপুর,গাজীপুর,রংপুর,চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে অব্যাহত হামলা,প্রতিমা ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর উত্তাল ছিল নেত্রকোনার রাজপথ।বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের পদভারে ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মিছিল শ্লোগানে রাজপথ ছিল প্রকম্পিত।

১৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ছোটবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি ও এদের প্রতিহত করার ডাক দেয়া হয়।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী,জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান খান, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়, আওয়ামীলীগ নেতা নূর খান মিঠু,ভজন সরকার,ইফতেখারউদ্দিন মাসুদ প্রমুখসহ ছাত্রলীগ,যুবলীগ,ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা।পরে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।

দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আজহারুল ইসলাম অরুণের নেতৃত্বে অপর একটি শান্তি ও সম্প্রীতি মিছিল জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে।

হিন্দুদের উপর চলমান সহিংসতার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণসংগঠনের আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন থেকে সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ও সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের পুনর্বাসন করতে
সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে যে সকল হিন্দুদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের  নি:শর্ত মুক্তি দাবি করা হয় এসময়।

জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত ঘোষ, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির পরিচালক স্বপন পাল, সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান, মহিলা পরিষদের সভাপতি তাহেজা বেগম,জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল আউয়াল শাওন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সঞ্জয় সরকার।পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মোক্তারপাড়া বকুলতলায় গিয়ে শেষ হয়।

যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশকে সতর্ক থাকতে দেখা যায় এ সময়।

 

নয়ন বর্মন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি