ঢাকা: ব্যাটারিচালিত ৪০ লাখ ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এগুলো আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আতিক তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

পরে আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইজিবাইকগুলোতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এই ইজিবাইকগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ইজিবাইকগুলো রুট পারমিট ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করছে। এই ইজিবাইকের বিদ্যুৎ খাত থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। এ কারণে সারাদেশে চলা অবৈধ প্রায় ৪০ লাখ ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট করি।

আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রিটের শুনানি নিয়ে আজকে আদালত ব্যাটারিচালিত ৪০ লাখ ইজিবাইক জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এগুলো আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অবৈধ ইজিবাইক আমদানি থেকে বিরত থাকতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর বাঘ ইকো মোটরস লিমিটেডের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলামের পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। রিটে শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, পরিবেশ সচিবসহ ৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

দেশে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ এসিড ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কের জন্য নিরাপদ নয় বলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ইজিবাইক নামে পরিচিত এসব থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স দেয় না। এগুলোর আমদানিও নিষিদ্ধ। তবে যন্ত্রাংশ আমদানির সুযোগ কাজে লাগিয়ে যন্ত্রাংশ আমদানি করে দেশেই সংযোজন করে ইজিবাইক বিক্রি হচ্ছে। ইজিবাইক বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ দিয়ে চালানো হয়। সরকারি অনুমোদন না থাকায় এসব থ্রি-হুইলার কয়েক বছর ধরে বৈধ-অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। যার চাপ পড়ছে অন্য বৈধ ভোক্তাদের উপর।

বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, সারাদেশের ইজিবাইকগুলো দৈনিক চার্জ দিতে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব ইজিবাইকে এখন সরাসরি বাণিজ্যিক বা আবাসিক লাইন থেকে চার্জ দেওয়া হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চুরি করে চার্জ দেওয়া হয়। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

 

প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ