ঢাকাঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি দু-তিনদিন পর্যবেক্ষণের পর স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকার ‘অ্যাকশনে’ যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'আমরা বলে দিয়েছি দুই একদিন আগে, দুই-তিনদিন একটু অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করবে। তারপর আমরা কিছু-কিছু অ্যাকশনে যাব।' 

কারণ আমরা প্রথম থেকেই অ্যাকশনে যেতে চাই না। আগে একটু দেখতে চাচ্ছি যে, ওনারা কি করেন, মানেন কি না। ইতোমধ্যে আমরা প্রশাসন এবং ল অ্যান্ড ফোর্সিং এজেন্সিকে ওয়াচ করতে বলেছি। তারপরে ইনশাল্লাহ আমরা কাল-পরশুর মধ্যে বিষয়টি চেষ্টা করব, বলেন তিনি। 

বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ইস্যুতে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা আছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'আমরা কিন্তু ওমিক্রন মনে করছি। তবে আমাদের কিন্তু ৮০ শতাংশের বেশি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।'

তিনি বলেন, 'আমরা সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাব, তারা যেন একটু সচেষ্ট হয়। লাস্ট যেটা স্টাডি করেছে আইইডিসিআর, সেটাতে ৮৭ শতাংশ ছিল ডেল্টা আর ১৩ শতাংশ ছিল ওমিক্রন। এখন হয়তো ওমিক্রন একটু বেড়ে ১৮ থেকে ২০ শতাংশে এসেছে। একটা মেজর কোয়েশ্চেন কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।'  

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। কেয়ারফুল যদি না থাকি তাহলে কিন্তু একটা ডিজাস্টার সামনে। ইতোমধ্যে সেভেন্টিন পয়েন্ট সামথিং হয়ে গেছে শনাক্তের হার। আগেরবার কিন্তু এক মাসে গিয়ে থার্টি পার্চেন্ট হয়েছে। এখন ১৫ দিনের এইটিন পার্চেন্ট হয়ে গেছে।' 

এটা কোনোভাবেই যদি কমিউনিটি অ্যাওয়ারনেস, সেফটি মেজর যদি আমরা না পালন করি, মাস্ক না পরলে কোনোভাবেই এটা ঠেকানো সম্ভব না। এটা মানুষকে বুঝতে হবে। কারণ এগুলো ফোর্স করে করা যাবে না। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আনোয়ারুল ইসলাম  বলেন, 'আপনারাতো বলছেন, আমরাও বলছি। মিডিয়াতে বারবার বলছেন, টক-শোগুলোতে বারবার বলা হচ্ছে, আমি দেখছি, এক্সপার্ট যারা ওনারাও, এটা শুধু ফোর্স করে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। সবাইকে পার্টিসিপেট করতে হবে।' 

১১টি বিধিনিষেধ দিয়েছেন। নতুন কোনো বিধিনিষেধ দেবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'দেখি। আমরা আগে একটু ফোর্স করার চেষ্টা করি। ফোর্স করার পর যদি...।'

এখনো অনেক জায়গায় সমাগম হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'দুই একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে আমরা ইন্সট্রাকশন নিয়ে দেখি, তারপরে অন্যকিছু।' 

 

 

বাংলাদেশ দর্পণ