বর্ধিত সভার ব্যানারে জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা এএইচএম কামারুজ্জানের ছবি সংযুক্ত না করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগেরই একাংশ। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেসবাহুল ইসলাম বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আমরা সকলে যোগদান করি। যোগদানের পর আমরা দেখি সভার ব্যানারে আমাদের জাতির আবেগের সঙ্গে জড়িত জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জানের ছবি সংযুক্ত করা হয়নি। এটা দেখে ছাত্রলীগে অনেক নেতাকর্মী উত্তেজিত হয়ে পরে, এমন অবস্থায় সভায় যোগদান করা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সেখান থেকে চলে যায় এবং বর্ধিত সভা পণ্ড হয়ে যায়।

মেসবাহুর রহমান বলেন, সভায় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন আসন্ন হল সম্মেলনে পদপ্রত্যাশীদের কেউ সিট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে সম্মেলন করতে দিবেন না। কিন্তু হল সম্মেলনের অধিকাংশ পদপ্রত্যাশীই সিট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত এবং অনেক প্রদপ্রত্যাশীদের সিট বাণিজ্যের প্রমাণও আমরা তাদের কাছে তুলে ধরি, কিন্তু তারা তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

তিনি আরও বলেন, ব্যানারের ছবি না রাখার বিষয়টি আমরা তাদের জানানোর তিনঘন্টা পরেও তারা ছবি সংযুক্ত করেনি। আমরা মনে করি ব্যানারে এএইচএম কামারুজ্জামানের ছবি সংযুক্ত না করায় তাকে অবমাননা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। এটা তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছে এবং এর দায় তাদেরই নিতে হবে। পাশাপাশি এই ধরণের ধৃষ্ঠতা দেখানোর জন্য জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। যদি তারা ক্ষমা না চায় তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।

সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত রাজু, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দূর্জয়সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ব্যানারটি বানিয়েছিলাম। পরে এটা আমাদের কাছে ভুল মনে হয়েছে তাই ব্যানারটি পরিবর্তন করে প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছি।

জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যানারটি তো পরবর্তীতে ঠিক করেই আমরা প্রোগ্রাম করেছি। এ বিষয়ে পরে কথা হবে।’


প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ