সুনামগঞ্জঃজেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলাবাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (হিন্দু) ভিটে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।

জানাযায়, টাইলা বাজারে টাইলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকেশ চন্দ্র দাসের ২৭৭ দাগের ৪ শতক রেকর্ডিয় ভূমির এক শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দেয়াল নির্মাণ করছেন টাইলা গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সিলেট পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল ফয়সল আহমদ ও তার লোকজন। ফয়সল জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের সময় বাড়িতে অবস্থান কালীন সময়ে গতপরশু শনিবার টাইলা গ্রামের সালিশে ব্যাক্তিবর্গ ও স্থানীয় ইউপি 

সদস্য নিয়ে দেয়াল নির্মানে আপত্তি জানানোর পরও ক্ষমতার অপব্যবহার করে, গ্রাম্য সালিশের কথায় ভ্রূক্ষেপ না করে তা প্রত্যাখান করে। 


এ-ঘটনায় ভিটের সত্ত্বাধিকারী টাইলা গ্রামের 

বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকেশ চন্দ্র দাস ভূমিখেকো ফয়সল আহমদ কর্তৃক অবৈধভাবে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণে শান্তিশৃংখলা ভঙ্গ করে, ফলে যেকোন ধরনের অ-প্রীতিকর ঘটনার শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সুকেশ চন্দ্র দাস ঐ জায়গাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখার স্বার্থে রবিবার (৬ মার্চ)  দুপুরে টাইলা গ্রামের শিকদার উল্ল্যাহ'র ছেলে মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, তার সহোদর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এবং আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ভূমিখেকো পুলিশ কনস্টেবল ফয়সল আহমদ তার সহোদর সাজাদকে অভিযুক্ত করে ফৌজধারী কার্য বিধির ১৪৪ ধারায় আমল গ্রহনকারী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। (১৪০/২২)। 


সন্ধ্যায় মামলার নথিপত্র শান্তিগঞ্জ থানায় 

পৌঁছালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী তাৎক্ষনিক থানার এসআই অনুপম দেবনাথকে এর দায়িত্ব দিয়েছেন। 


পুলিশ কনস্টেবল মোঃ ফয়সল আহমদ রবিবার (৬ মার্চ) সকালে তার কর্মস্থল সিলেট পুলিশ লাইনে চলে গেলেও তার নির্দেশে তার বাবা, চাচা এবং স্বজনরা সেদিনই সন্ধ্যায় বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে দেয়াল নির্মাণের কাজ চালিয়েছেন পুরোদমে৷ এমন তথ্যর ভিত্তিতে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুপম দেবনাথ তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ফয়সল আহমদকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে ফয়সাল তা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে জোরপূর্বক কাজ চালিয়ে যায়। 


অভিযুক্ত ফয়সলের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বিধায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।



প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ