নরসিংদীতে মন্টি দত্ত (৩৮) নামের এক যুবককে কয়েক দফা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ তাঁরই বন্ধুর বিরুদ্ধে। গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আলাদা দুই এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মন্টি দত্ত শহরের উত্তর কান্দাপাড়া এলাকার নিরঞ্জন দত্তের ছেলে। সে একসময় স্বর্ণের দোকানের কারিগর হিসেবে কাজ করলেও সম্প্রতি বেকার ছিলেন।


নরসিংদীতে মন্টি দত্ত (৩৮) নামের এক যুবককে কয়েক দফা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ তাঁরই বন্ধুর বিরুদ্ধে। গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আলাদা দুই এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মন্টি দত্ত শহরের উত্তর কান্দাপাড়া এলাকার নিরঞ্জন দত্তের ছেলে। সে একসময় স্বর্ণের দোকানের কারিগর হিসেবে কাজ করলেও সম্প্রতি বেকার ছিলেন।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত মন্টির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফকরুল ইসলাম (৩৫)। তাঁরা সব সময় একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই মাদক সেবন করার অভিযোগ রয়েছে। মন্টিকে মারধরের ঘটনায় ফকরুল ও তাঁর ১৫/২০ জন সহযোগী সরাসরি অংশ নেয়।

নিহত মন্টির পরিবারের সদস্য ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গত রবিবার সকালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্থানীয় শাকিল নামের এক যুবকের সঙ্গে মন্টির কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে শাকিল ওই সময় মন্টিকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে মন্টি শহরের বাজিরমোড় এলাকার পাট্টা (বাংলা মদ বিক্রয়কেন্দ্র) থেকে কয়েক দফা মদ পান করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাট্টার পাশের একটি দোকানে কাবাব খাওয়ার সময় সকালের বিষয় নিয়ে ফকরুল নামের তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নিলে ফকরুল মন্টির পরনের শার্ট টেনে ছিড়ে ফেলেন। এতে মন্টি উত্তেজিত হয়ে ফকরুলকে গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপস্থিত লোকজন তাঁদের দুজনকে সেখান থেকে দুই দিকে সরিয়ে দিলে তাঁরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা আবার মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর মন্টির মাথা থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। তাঁকে আবার ধরে নিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। পরে এলাকায় ফিরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর সামনে বসে ছিলেন মন্টি। ওই রেস্তোরাঁতেই ফখরুল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে খেতে গিয়ে মন্টিকে দেখে তৃতীয় দফা মারধর করেন। সেখান থেকে পালিয়ে মন্টি নিজের এলাকা পাতিলবাড়ি রোডে চলে যান। প্রতিশোধ নিতে মন্টি লোক জড়ো করছেন এমন খবর পেয়ে ফকরুল ও তাঁর সহযোগীরা পাতিলবাড়ি রোড এলাকায় গিয়ে তাঁকে চতুর্থ দফা পেটান। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লোপা চৌধুরী বলেন, ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর লাশ রাতেই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন পেয়েছেন চিকিৎসকেরা।


নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, এ ঘটনায় আজ সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা করেনি। মামলার পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ