ঢাকাঃ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে এমনিতেই ফেরি চলাচল সীমিত। দিনের বেলায় এই রুটে চললেও রাতে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথ হয়ে যেতে হয়। অফ সিজনেই ফেরি সংকটে এসব রুটে যাত্রী বিড়ম্বনা চরমে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ না বাড়তে এখনই হিমশিম অবস্থা। দ্রুতই ব্যবস্থা না নিলে ঈদযাত্রায় দেখা দিতে পারে চরম বিপর্যয়।

দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘলাইন লেগেই থাকে। শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি এবং শুধু দিনের বেলা বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলছে এখনো। এ ছাড়া, গত আট মাস ধরে এই পথে ভারী যান পারাপার বন্ধ। এতে ঈদের আগে পারাপারে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে।

গত ১৮ আগস্ট থেকে এখানে ফেরি চলাচলে তৈরি হয় অচলাবস্থা। ৮ নভেম্বর হতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার দিনের বেলায় এবং পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতুকে এড়িয়ে শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে ফেরি পর্যাপ্ত না থাকায় ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে সংকটও ততই বাড়ছে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় চেষ্টা চলছে।  বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি যে রুটটা সেখানে একটি মাত্র ফেরিঘাট ছিল। এখন আমরা আরেকটি ফেরিঘাট করছি এবং যাতায়াতের সুবিধার জন্য লঞ্চ ঘাটটাকেও আমরা স্থানান্তর করছি।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ট্রাফিক পরিদর্শক এস এম জিয়াউল হায়দার বলেন, যে পরিমাণ গাড়ি আমাদের এই ঘাট দিয়ে পারাপার হয় সে তুলনায় ফেরির সংখ্যা কম। ৪টি ফেরি দিয়ে মূলত ঘাট চালানো লাগতাছে, সে কারণে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে, শিমুলিয়া থেকে শুধু যাত্রী পারাপার করছে ৮৭ লঞ্চ ও ১৫৩টি স্পিডবোট।


প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ