ঢাকাঃ প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মার্টিন কুপার। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ‘মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামের মোবাইল ফোন দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেটি রূপ পরিবর্তন করতে করতে আজ পুরো পৃথিবীকেই বদলে দিয়েছে।
তবে আশ্চর্যের খবর হলো— যে মোবাইলের বদৌলতে আজ এত কিছু, সেই মোবাইল ফোনের অন্যতম আবিষ্কারক মার্টিন কুপারই দিনের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তিনি বলেছেন, জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যখন সঞ্চালক বলেন যে তিনি দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা করে মোবাইলের পেছনে সময় ব্যয় করছেন তার জবাবে মার্টিন কুপার এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী জেইন ম্যাককাবিন মার্টিন কুপারকে প্রশ্ন করেন, আমার মতো যারা দিনে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করেন, তাদের কী বলবেন?
এ সময় বিস্ময় প্রকাশ করে কুপার বলেন, সত্যিই? সত্যিই আপনি দিনে পাঁচ ঘণ্টা সময় দেন মোবাইলের পেছনে?। তারপর একগাল হেসে বলেন, জীবনটাকে একটু উপভোগ করুন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর বাসিন্দা মার্টিন কুপার পরে বলেন যে, তিনি নিজেই দিনের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
১৯৫৪ সালে মার্টিন কুপার মটোরোলার জন্য কাজ শুরু করার আগে টেলিটাইপ কর্পোরেশনে প্রথম চাকরি করেন। তিনি প্রথম একটি ফার্মের সঙ্গে পোর্টেবল পুলিশ রেডিও সিস্টেমগুলোর মধ্যে বিভিন্ন আইটেম উদ্ভাবনে অবদান রেখেছিলেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন বলছে, গাড়ির ফোন, যেগুলো অটোমোবাইলের ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল এবং রেডিও চ্যানেলের মাধ্যমে আউটগোয়িং কল করা হতো যা খুব কমই কাজ করতো। তবে সত্তরের দশকে এটির ব্যবহার বাড়তে থাকে। তা সত্ত্বেও, মার্টিনই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাজারে একটি পোর্টেবল ফোন সরবরাহ করেছিলেন।
উদ্ভাবক মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম মোবাইলের মাধ্যমে ফোনকল করতে সক্ষম হন। সেই দিনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ফোনটি আড়াই পাউন্ড ওজনের এবং ১০ ইঞ্চি লম্বা ছিল। একবার চার্জ দিয়ে ২৫ মিনিট কথা বলা যেতো। আর চার্জ হতে সময় লাগতো ১০ ঘণ্টা।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ