ভারতকে ইসলামিক স্টেটে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমাম। দিল্লি পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

দিল্লি পুলিসের একটি সূত্র বলছে, জেরায় শারজিল স্বীকার করেছেন, ভারতকে ইসলামিক স্টেটে পরিণত করাই তার লক্ষ্য।

অসম-সহ উত্তর-পূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়েছিলেন শারজিল ইমাম। দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভের মূল উদ্যোক্তাও জেএনইউ-র এই প্রাক্তন ছাত্র।

বিহারের জাহানাবাদে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। তাকে ৫ দিনের পুলিস হাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। তাকে জেরা করছে দিল্লি পুলিসের অপরাধদমন শাখা।

পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় তদন্তকারীরা বুঝতে পেরেছেন, শারজিল ইমামের মগজধোলাই করা হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ভারতকে ইসলামিক স্টেটে পরিণত করা হোক। শারজিল স্বীকার করেছেন, যে ভিডিওতে তাকে দেখা গিয়েছিল, সেটি আসল। 

ইসলামিক ইউথ ফেডারেশন ও পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে শারজিলের যোগও খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিস। ভিডিওগুলি পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবে।

ভাইরাল ভিডিওয় শারজিলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমরা ৫ লক্ষ মুসলিম একসঙ্গে আসতে পারলে ভারত থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করে দেব। পাকাপাকিভাবে না হলেও ১-২ মাস তো করতেই পারব। বিক্ষোভকারীদের সরাতে অন্তত ১ মাস তো লাগবেই। অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেই কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে।’

এরপর শারজিলের বিরুদ্ধে মামলা করে বিহার, অসম, অরুণাচল, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও মণিপুর সরকার। গত মঙ্গলবার বিহারের জাহানাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ।

বিদেশ ডেস্ক | বাংলাদেশদর্পণ.কম