৭টি তুলসী পাতা খেলে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হবে না-এমন গুজবে গোপালগঞ্জ জেলারসর্বত্র তুলসী পাতা খাওয়ার হিড়িক পড়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াসহ জেলায় এবার তুলসীপাতা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে একটি মহল। অনেক আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তুলসীপাতা খাওয়ার বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন।

তবে এর কোন ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নেওয়াজ মোহাম্মদ। গত ২দিন ধরে কোটালীপাড়া উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অনেকেই ৭টি করে তুলসী পাতা খাচ্ছেন। তাদের ধারণা তুলসীপাতা খেলে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না।

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ঔষধ ব্যবসায়ী দিদারুল ইসলাম খান তার ফেসবুক পেইজে এলাকাবাসীকে তুলসীপাতা খাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ৭টি তুলসীপাতা খেলে সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে না।

 

কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, গত শুক্রবার আমাদের গাছ ভরা তুলসীপাতা দেখেছি। শনিবার ভোরে দেখি তুলসী গাছে কোন পাতা নেই। অনেকে আবার গাছ উপড়ে নিয়ে গেছে।

পিড়ারবাড়ি গ্রামে সুমন বালা বলেন, রবিবার আমার মা লবণ দিয়ে ৭টি তুলসীপাতা খেতে বললো। ৭টি তুলসীপাতা খেলে নাকি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবো না। মায়ের নির্দেশে আমি ৭টি তুলসী পাতা খেয়েছি।

জেলা সদরে কর্মরত এক গনমাধ্যম কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার এক নিকট আত্মীয় গত শনিবার তুলসি পাতা নিয়ে তাদের বাসায় আসেন। তাদেরকে ৭টি করে তুলসি পাতা খাবার জন্য বলেন এবং এগুলো খেলে নাকি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না, এমনটি তাকে জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুশান্ত বৈদ্য বলেন, ৭টি তুলসী পাতা খেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে না, এমন কথা আমি শুনিনি বা চিকিৎসা বিজ্ঞানে পাইনি। তবে কারও ঠাণ্ডাজনিত কাশি হলে তার জন্য তুলসী পাতা উপকারী।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নেওয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এসব কথার কোন ভিত্তি নাই। এসবই গুজব। তিনি গুজবে কান না দেয়ার কথা উল্লে­খ করে বলেন, এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের দেশসহ বিভিন্ন উন্নত দেশগুলো গবেষণা করে যাচ্ছে।