যে কোনো ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া তখনই কাবু করতে পারে যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করা যেতে পারে-

রঙিন ফলমূল ও শাক-সবজি : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন নানা উপাদান। শাক-সবজি, রঙিন ফলমূলে তার অনেকটাই পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাবারে তাই এসব রাখার প্রয়োজন। 

প্রয়োজনীয় টিকা : সব প্রয়োজনীয় টিকাই দেওয়া থাকতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্করা ভ্যাকসিন রিফ্রেশ করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস, মেনিনজাইটিস, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং এমন অন্যান্য রোগের টিকা নিন।

ভাইরাস পালিয়ে যাবে : বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের পেশিগুলো নিয়মিত, অর্থাৎ সপ্তাহে তিন দিন জগিং, নর্ডিক ওয়াকিং বা হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করে ঠিক রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

প্রয়োজন যথেষ্ট ঘুম : ঘুম শরীরকে শুধু বিশ্রামই দেয় না, গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার ছড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সচল রাখে।

চাই জীবনে আনন্দ : সমীক্ষায় জানা যায়, শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো মন-মেজাজ এবং জীবনে আনন্দের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তুলনামূলকভাবে হাসিখুশি মানুষের অসুখ-বিসুখ কম হয়।

মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন : বর্তমান বিশ্বে ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। তবে নেতিবাচক চাপ শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এই চাপ কমাতে শরীরের ব্যাটারিকে রিচার্জ করুন, অর্থাৎ নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা এমন কিছু করুন।

হাঁটুন : তাজা বাতাস এবং হাঁটা দুটোই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। মুক্ত বাতাসে হাঁটার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকভাবে হয়।