বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোণায় আলোচনা সভা ও বই উপহার

নেত্রকোণা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোণায় আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীসহ বিভিন্ন বই বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ই আগস্ট)
বিকেলে সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের পলাশআটি গ্রামে "আলোর পথে" পাঠাগারের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। 

পাঠাগারের সভাপতি শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন "সাদা মানুষের ফাউন্ডেশন"র আহ্বায়ক দীপক চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সদস্য সুজিত গোস্বামী, আমিনুল ইসলাম মামুন,এস আলম মিন্টু প্রমুখ। 

এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন
আলোর পথে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো.আল আমিন,উপদেষ্টা মোফাজ্জল হোসেন,উপদেষ্টা বদিউজ্জামান,সভাপতি শাকিল আহমেদ, আনন্দ রক্তদান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আতাউর রহমান হিল্লোল,নেত্রকোণা জার্নাল সম্পাদক জহিরুল ইসলাম অসীম প্রমুখ। 

আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, তার সংগ্রামী জীবনী ও অবদান নিয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়া "সাদা মানুষের ফাউন্ডেশনের" পক্ষ থেকে আলোর পথে পাঠাগারকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীসহ অর্ধশতাধিক মহা মূল্যবান বই উপহার দেয়া হয়। 

বই পড়াকে উৎসাহিত করতে  পাঠাগারের নিয়মিত পাঠকদের মধ্য থেকে ৭ জনকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে বই প্রদান করা হয় এসময়।পাঠাগারের সেরা পাঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো.ওয়ালীউল্লাহ্।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আলোর পথে পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জয়দুল ইসলাম।

সাদা মানুষের ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক দীপক 
চন্দ্র দাস জানান,"সমাজের ভালো কাজগুলো
কে উৎসাহ দিতে চান তারা,অজপাড়া গাঁয়ের ছেলে-মেয়েদের বই পড়ার প্রতি এত আগ্রহ দেখে তারা অনেক আনন্দিত। আলোকিত সমাজ ও মানুষ গড়তে বই পড়ার বিকল্প নেই।তাই নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করা ও সেইসাথে বঙ্গবন্ধুকে জানার উদ্দেশ্যে পাঠাগারে কিছু বই উপহার দিয়েছেন তারা।ভবিষ্যতেও আরোও সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে তাদের।

আলোরপথে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ঢাবি ছাত্র আল-আমিন জানান,"গ্রামের মানুষকে মননশীল শিক্ষায় শিক্ষিত  ও আলোকিত করতে "আলোর পথে" নাম নিয়ে ২০১৩ সালে 
পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়। এতে গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অবসরকালীন নিয়মিত পড়াশোনা করে নিজেরা আলোকিত হচ্ছে।পাঠাগারের শ্রীবৃদ্ধির জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।"

পাঠাগারের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফারজানা, ফয়সাল,প্রীতি,আরাফাত,বিউটি ও
শরীফ জানায়,তাদের পাঠাগারের সংগ্রহে থাকা প্রায় শ তিনেক বই ইতিমধ্যে তাদের পড়া শেষ। নতুন বই পড়তে চায় তারা। 

 

নয়ন বর্মন, নেত্রকোণা প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দর্পণ