‘আর প্রায় একমাস পর বাঙালী হিন্দুর সর্ববৃহৎ সর্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। এবার করোনার কারণে গত বছরের মতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার আয়োজন করা হবে। পূজা উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু হয়েছে।’
তবে পূজাকে উপলক্ষ করে অনেক মণ্ডপেই যে কুরুচিপূর্ণ গান-বাজনা ও উচ্ছৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায় সেসব নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দেবদাস ভট্টাচার্য। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামি দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। সেসঙ্গে বাংলাদেশের সকল পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি কয়েকটি সুপারিশ ঘোষণা করেছেন তিনি।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সামাজিকমাধ্যমে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য নিচের নির্দেশনাগুলো প্রদান করেন-
১। আরতির নামে ডিজে, কুরুচিপূর্ণ গান সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
২। প্রতি সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে ধর্মীয় আলোচনা এবং ধর্মীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন এক বা দুইজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে আলোচনার জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা হলে দর্শক সমাগম বজায় থাকবে এবং সকলে উপভোগ করবেন।
৩। ধর্মীয় বিষয়ের উপর শিশু, কিশোর, তরুণদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার প্রদানের আয়োজন করা যেতে পারে।
৪। সমবেত চণ্ডীপাঠ বা সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা যেতে পারে।
৫। প্রতিদিন সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে এবং সঠিক নিয়মে অঞ্জলির পরিকল্পনা এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। আলোকসজ্জা বা অন্যান্য খরচ কমিয়ে বাজেটের একটি অংশ দিয়ে গরীব পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।
৭। প্রতিমা নির্মাণ হ পূজার সমস্ত প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বিধান মেনে সাত্ত্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এরপর তিনি বলেন, “পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মীয় বোধের যে অবক্ষয় চোখে পড়ে, তাতে আমি হতাশ, ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামির ফলে যুব সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে, পথভ্রষ্ট হচ্ছে।”
“ধর্মকে গ্লানিমুক্ত করে গৌরবময় করতে সবাইকে এক লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।” লেখেন ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
বিশেষ প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ