বিয়ের পাঁচ মাস পার না হতেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো লামিয়া লাইজু (২০) নামের এক নববধূ। শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার।
বাবার দাবি যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে।
স্বামীর দাবি সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশের বক্তব্য নির্যাতনের কারণে প্ররোচিত আত্মহত্যা। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নববধূ লাইজুর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।
গত ১১ মার্চ পারিবারিকভাবে ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান শরিফের(৩০) সাথে বিয়ে হয় লামিয়া লাইজুর। সে ময়মনসিংহ নাটকঘরলেন এলাকার মোঃ আব্দুস সামাদের মেয়ে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, ১৫ আগস্ট শনিবার দুপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাইজুকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তবে মেয়ের বাবা আব্দুস সামাদ দাবি করেন, শরিফ ব্যবসার জন্য দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দিতে না পারায় তার মেয়েকে মারধর করে মেরে ফলেছে।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরিকল্পিতভাবে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন শরিফ মোবাইল ফোনে জানায়, মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় লাইজুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌছে প্রতিবেশীদের সূত্রে জানতে পারেন, উচ্চ সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে ১৫ আগস্ট সকালে তার মেয়েকে ব্যাপক মারধর করে শরিফ। লাইজুর গলায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেন প্রতিনিয়তই যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হতেন তার মেয়ে লাইজু।
নিহত লাইজুর পরিবার আরও জানায়, লাইজুকে হত্যার পর পরই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাইজুর ফেসবুক আইডি ডিজেবল করে সিম ও মোবাইল ভেঙ্গে ফেলেছে।
ধোবাউড়া থানার তদন্ত ওসি চাঁদ মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি নির্যাতনের কারণে প্ররোচিত আত্মহত্যা বলেই পুলিশ ধারনা করছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬ টায় পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করে।
ওসি আরও জানান, নিহত লাইজুর শ্বশুরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩০৬ ধারায় প্ররোচিত আত্মহত্যা উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।