করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

৬৯ বছর বয়সী মুনতাসীর মামুন রোববার সন্ধ্যায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন বলে ওই হাসপাতালের কোভিড-১৯ বিষয়ক টিমের ফোকাল পার্সন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমরা আইসিইউ কল করেছি। সিট পাওয়া গেলে তাকে আজকে রাতেই আইসিইউতে শিফট করা হবে।”

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মেয়ে রয়া মুনতাসীর বলেন, “করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ১০ দিন আগে বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। আজ করোনাভাইরাসের উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি আমরা। কাল সকালে সর্বশেষ টেস্টের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাব।”

আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচাবে ড. বিজন শীলের এই সহজ রেসিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক গবেষণাধর্মী কাজ রয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনে সম্পৃক্ত এই অধ্যাপক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও দিয়েছেন।

সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সক্রিয় রয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতেও। বর্তমানে কমিটিতে সহ-সভাপতির পদে আছেন তিনি। 

একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তার প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনায় প্রতিষ্ঠা পায় গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। একাত্তরের ২৫ শে মার্চের কালোরাত্রির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য লড়ছেন তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ডাকসুর প্রথম নির্বাচনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুনতাসীর মামুন। একই সময়ে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় আর্কাইভসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

ঢাকার ইতিহাস চর্চার জন্য মুনতাসীর মামুন প্রতিষ্ঠা করেছেন সেন্টার ফর ঢাকা স্টাডিজ (ঢাকা চর্চা কেন্দ্র)। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো।

আরও পড়ুন: এক দিনেই করোনায় আক্রান্ত শতাধিক পুলিশ সদস্য