ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে শেরপুরে লাশ দেখতে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাস সড়ক থেকে পুকুরে পড়ে নারী-শিশুসহ ৮ যাত্রীর মর্মমান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চালকসহ পনেরজন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করছিলো হাইয়েস কালো রঙের (ঢাকা মেট্রো চ ১৯২৩৯৯) নাম্বারের একটি মাইক্রোবাস।

পরে ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের বাঁশাটি গ্রাম এলাকায় পৌঁছলে হাইওয়ে সড়ক থেকে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবুজ নামের এক ব্যক্তির পুকুরে পড়ে যায়। এতেই এই প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ারসার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর থেকে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

নিহতরা হলেন- গফরগাঁও উপজেলার বাতুরী মশাখালী গ্রামের শামছুল হক, তারাকান্দা উপজেলার দাদরা গ্রামের চিত্তবরণের ছেলে নবী হোসেন, ভালুকা উপজেলার বিরুণিয়া গ্রামের বাকশীবাড়ির মৃত চাঁন মোহনের স্ত্রী মিলুয়ারা বেগম, গফরগাঁও উপজেলার শেখ বাজারের রতন মিয়ার স্ত্রী রিপা খাতুন, এলাহী বক্সের স্ত্রী রেজিয়া খাতুন, মশাখালীর হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী পারুল আক্তার, ভালুকা উপজেলার বিরুণিয়া গ্রামের বাকশীবাড়ির মো. শাহ্জাহানের স্ত্রী বেগম আক্তার এবং তার মেয়ে বুলবুলি আক্তার।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহ্জাহান মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান- এছাড়াও জীবিত অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তারা হলেন-ভালুকা উপজেলার বিরুণিয়া গ্রামের বাকশীবাড়ির চাঁন মোহনের ছেলে শাহ্জাহান, শারফুল, মিলনের ছেলে মো. মিজান, মশাখালীর মৃত উসমানের ছেলে হাবীব, ভালুকা উপজেলার লাহাবৈ রাজৈ আবুল কালামের ছেলে রাজু মিয়া এবং গফরগাঁও উপজেলার শেখ বাজারের এলাহী বক্সের ছেলে রতন মিয়া।

দুর্ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাস চালক আত্মগোপন করতে সক্ষম হয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে তার পরিচয় সনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।

ময়মনসিংহ ফায়ারসার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক প্রাণনাথ সাহা  জানান- মরদেহগুলো উদ্ধারের পর পুকুর থেকে মাইক্রোবাসটিকে উঠিয়ে আনতে কাজ করছে টিমের সদস্যরা।
 

নয়ন বর্মন, নেত্রকোনা প্রতিনিধি