শুধু চাকরির পিছনে না ছুটে সরকারি সুযোগ - সুবিধ কাজে লাগিয়ে ঘরের পাশের পরিত্যক্ত জলাশয়ে মৎস্য চাষের মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে দেশের যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২২ মে)  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন যেকোনো ছেলেমেয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে মৎস্যখামার করেও তারা অর্থ উপার্জন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যুবসমাজের জন্য আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখান থেকে তারা কোনো জামানত ছাড়াই ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশ জুড়ে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। সেখানে যাতে মৎস্যজাতীয় পণ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাত করা যায়, সে সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে।’

প্রধনিমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তখনই কাজ করেছে।  মৎস্য উৎপাদনে  আরো বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন কেননা ,এখানে ব্যাপক র্কমসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।  এছাড়াও প্রধনিমন্ত্রী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মৎস্যজীবী লীগের প্রত্যেক সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যুব সমাজকে ট্রেনিং দেওয়া, জলাধারগুলো সংস্কার করে মাছ উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় তার ব্যবস্থা করা , ওপর গবেষণার ব্যবস্থা করা, গবেষণা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা করা, সুযোগ সৃষ্টি করা এবং খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি মাছ যাতে থাকে, তার ব্যবস্থা করি।’


শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল, সেখানে আমরা ৫০ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উৎপাদন শুরু করেছি। সেই সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যাতে মাছ থাকে, তারও ব্যবস্থা নিয়েছি। ইলিশ উৎপাদনে আমরা এখন পৃথিবীর এক নম্বর অবস্থানে চলে এসেছি।’ ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রজননের সময়ে আমরা মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি, তাঁদের খাদ্যসাহায্য দিই।’

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেককে প্রতি মাসে বিনা পয়সায় খাদ্য দিয়ে থাকি, চাল দিয়ে থাকি; সেই সঙ্গে আবার ঝাঁকায় করে মাছ চাষের উদ্যোগের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নিয়ে থাকি, যাতে আমাদের মৎস্যজীবীরা কোনো রকম কষ্ট না পান। সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি।’

সবাইকে কোভিড-১৯ সম্পর্কে সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, যাতে করোনাভাইরাস কারও ক্ষতি করতে না পারে। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। নিজেকে এবং অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।’