যশোরের বাঘারপাড়ায় হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা প্রায় ৮৫.৫ শতাংশ। এ নিয়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৩৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাঘারপাড়া হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা.শাহ-আলম রুবেল জানান, উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৭ জন, দোহাকুলা ইউনিয়নে ৫ জন, দরাজহাট ইউনিয়নে ৩ জন, বাসুয়াড়ী ও রায়পুর ইউনিয়নে ২ জন করে ৪ জন, জহুরপুর, বন্দবিলা ও ধলগ্রাম ইউনিয়নে ১ জন করে ৩ জন, পৌর এলাকার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৩ জন করে ৬ জন, ৭ নং ওয়ার্ডে একজন ও যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নে একজনসহ মোট ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জন করোনা রোগীকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। বৃহস্পতিবার ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ সচেতন না হওয়ায় ও সরকারি নির্দেশনা না মানায় হঠাৎ করে আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ৩৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালের আইশোলেসানে এবং বাকীরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিনের শনাক্ত অনুযায়ী বাঘারপাড়ায় করোনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। মাস্ক পরিধানসহ নির্দেশনা মানার জন্য জনসাধারণকে প্রতিনিয়তই সতর্ক করা হচ্ছে।’

ইউএনও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে পরামর্শ করে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। করোনায় আক্রান্তদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন উপজেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

(শান্ত দেবনাথ )