নেত্রকোনা:জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় ঝুমন দাসের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজ ও উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‘যে মানুষকে ভালবাসে, সে কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না’ বঙ্গবন্ধুর এ উক্তির প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাসের মুক্তির দাবীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রলীগকর্মী সাগর সরকার জয়ের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খালিয়াজুরী উপজেলা শাখার সভাপতি তারা প্রসন্ন দেবরায় ও সাধারণ সম্পাদক অজিত কুমার দাস।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি নিহারেন্দু দেবরায়, উদয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রান্তোষ সামন্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা শম্ভু বর্মন, অমলেন্দু দেব রায়, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট খালিয়াজুরী শাখার আহ্বায়ক অঞ্জন সরকার, খালিয়াজুরী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক স্বাগত সরকার শুভ, গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব কাজল মজুমদারসহ আরো এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
এসময় বক্তরা সুনামগঞ্জের শাল্লায় উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মিথ্যা মামলায় কারা নির্যাতিত ঝুমন দাসকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তার পরিবার পরিজনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানান। এছাড়াও অসম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ গড়ার নতুন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ঝুমন দাস হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়। এ অভিযোগে গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাওয়ে হামলা চালিয়ে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরসহ অন্তত ৯০টি বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ মামুনুল অনুসারীরা।
পরে গত ২৪ মার্চ ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ৩ মাস যাবৎ সে করাগারে আটক রয়েছে। এদিকে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় সুনামগঞ্জ মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না দেয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু কয়েক দফা শুনানির পরও তার জামিন হয়নি। অথচ হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের মামলার আসামীদের অনেকেরই জামিন হয়েছে। দ্রুত ঝুমন দাসের মুক্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।
নয়ন বর্মন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
বাংলাদেশদর্পণ.কম