কুমিল্লা: নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ঘটনার পেছনে কার ইন্ধন রয়েছে, তা স্বীকার করছে না সে। এ ঘটনায় ইকবালসহ চারজন সাতদিনের রিমান্ডে আছেন।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ ইকবালই রেখেছে-এমন প্রমাণ পায় পুলিশ। ঘটনার আটদিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দিন থেকে পুলিশ হেফাজতে ছিল ৯৯৯-এ কল করা ইকরাম। এর দুইদিন পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় মসজিদের সহকারী খাদেম হুমায়ুন ও ফয়সালকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু সরাসরি ইকবালের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাই তাকে প্রাধান্য দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইকরামকেও জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। তবে কেউ ইন্ধনদাতাদের ব্যাপারে মুখ খুলছে না।
এর আগে রবিবার রাতে মামলাটি কোতয়ালি থানা থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। ইকবালকে সাথে নিয়ে দারোগা বাড়ি মাজার পুকুরের পাশে একটি ঝোপ থেকে হনুমানের গদাটিও উদ্ধার করে পুলিশ।
সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ মো. রেজোয়ান জানান, ঘটনার গভীরে কাদের ইন্ধন ছিল, তাদের টার্গেট করে তদন্ত চলছে। ইকবালকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কারও নাম স্বীকার করেনি সে। ইকরামসহ বাকি দুইজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলের ওপর পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার ঘটনার পর থেকে সারাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ