বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছে ৩২৮ রানে। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭৫ রান। ফিফটি হাঁকিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
৭০ রানে ১ উইকেট নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন জয় ও শান্ত। শান্ত নিয়মিত রান সংগ্রহ করতে থাকলেও জয় ধীরগতিতে ধৈর্যশীল ব্যাটিং করতে থাকেন। ১৯তম ওভারে ব্যাট করতে নেমেও ওপেনার জয়ের আগে অর্ধশতক তুলে নেন শান্ত। রাচিন রবীন্দ্রকে ছক্কা হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পান তিনি। ৯০ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করেন শান্ত।
জয় ও শান্তর জুটি ২২৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে। এই দুই তরুণ ব্যাটারের কল্যাণে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর দ্বিতীয় উইকেটে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের ৬৪ রান।
অর্ধশতক হাঁকানোর পরই রান তোলার গতি বৃদ্ধি করেন শান্ত। ৬৪ রানে নেইল ওয়াগনারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। ভেঙে যায় শান্ত ও জয়ের ১০৪ রানের জুটি। শান্তর ১০৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা।
শান্ত ফেরার পরে জয়ের সাথে যোগ দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছেন তারা দুইজন। ৬৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে রান। জয় অপরাজিত আছেন ৭০ রানে। খেলেছেন ২১১টি বল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭টি চার। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ২৭ বলে ৮ রানে। বাংলাদেশ ১৫৩ রানে পিছিয়ে আছে।
এর আগে দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনেই নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম তিনটি করে, মুমিনুল দুইটি এবং এবাদত হোসেন একটি উইকেট নেন। শতক হাঁকান ডেভন কনওয়ে (১২২)। অর্ধশতক আসে উইল ইয়ং (৫২) ও হেনরী নিকোলসের (৭৫) ব্যাট থেকে। চারটি ক্যাচ নিয়ে এক ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার যৌথ রেকর্ড গড়েন সাদমান ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৩২৮/১০ (১০৮.১ ওভার)
কনওয়ে ১২২, নিকোলস ৭৫, ইয়ং ৫২, টেলর ৩১, ল্যাথাম ১;
শরিফুল ২৬-৭-৬৯-৩, মিরাজ ৩২-৯-৮৬-৩, মুমিনুল ৪.১-০-৬-২।
বাংলাদেশ ১৭৫/২ (৬৭ ওভার)
জয় ৭০*, শান্ত ৬৪, সাদমান ২২, মুমিনুল ৮*,
ওয়াগনার ১৬-৫-২৭-২।
১৫৩ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ