ঢাকাঃ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে ভারত। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়ার যুবারা। এ নিয়ে পাঁচ বার ট্রফি জিতল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংলিশ অধিনায়ক টম প্রেস্ট। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণে যেন উঠেপড়ে লাগেন জুনিয়র ব্যাটাররা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৪৪.৫ ওভারে মাত্র ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় টিম ইংল্যান্ড। জেমস রিউ করেন সর্বোচ্চ ৯৫ রান।

ইংল্যান্ডের যুবাদের দেওয়া স্বল্প রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে ইয়াশ ধুলের দল। দ্বিতীয় বলেই উইকেট তুলে নেন ইংলিশ পেসার জশুয়া বয়ডেন। তবে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ইনিংস গড়তে থাকেন হারনূর সিং এবং শাইখ রাশিদ। ধীর স্থির ব্যাটিংয়ে দুজনে মিলে ১৭.৩ ওভারে দলের খাতায় যোগ করেন ৪৯ রান।

দলীয় ৪৯ রানের মাথায় হারনূর সিং সাজঘরে ফেরেন ৪৬ বলে ২১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে। দলীয় ৯৫ রানে টিম ইন্ডিয়া হারায় তৃতীয় উইকেট। ৫০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে জেমস সালেসের বলে ফেরেন শাইখ রাশিদ। এরপর আবার পরের ওভারে ফিরেই সালেস তুলে নেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক ইয়াশ ধুলের উইকেট। ১৭ রান করে ফেরেন তিনি।

এরপর দলের হাল ধরেন বোলিংয়ে ইংলিশদের ধুইয়ে দেওয়া রাজ বাওয়া এবং নিশান্ত সিন্ধু। স্বাচ্ছন্দ্যে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের বন্দরে। দুজনের জুটিতে আসে ৬৭ রান। জয় থেকে ২৫ রান দূরে থাকতে ৩৫ রান করে আউট হন রাজ বাওয়া। এরপর বাকি কাজটুকু সারেন নিশান্ত সিন্ধু এবং উইকেটকিপার দীনেশ বানা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে নিশান্ত সিন্ধুর ব্যাট থেকে।

ইংল্যান্ডের পক্ষে বয়ডেন, জেমস সালেস এবং থমাস অ্যাস্পিনওয়াল দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন ইংলিশ যুবারা। ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে লড়ে যান জেমস রিউ। ব্যক্তিগত ৯৫ রানে রবি কুমারের শিকার হয়ে তিনি মাঠ ছাড়েন। তার ১১৬ বলের ইনিংসটি ১২ চারের মারে সাজানো ছিল। ক্রিজের অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান জেমস সালেস। তিনি ৬৫ বল মোকাবিলা করে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বাকিরা তাকে সঙ্গ দিতে না পারলে ৪৪.৫ ওভারে থামে ইংলিশ ইনিংস।

ভারতের হয়ে বল হাতে আগুনঝরা বোলিং করেন রবি কুমার ও রাজ বাওয়া। রাজ ৩১ রান খরচায় ৫ ‍উইকেট শিকার করেন। অন্যদিকে রবি ৩৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন। বাকি এক উইকেট নেন তামবি।



প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ