"গুপ্ত রেখে হও পোক্ত, ব্যক্ত করে হইয়ো না ত্যক্ত"
শ্রী শ্রী গুরুদাস পরমহংস ফকির বাবাজী।
গত ৩ ও ৪ ঠা ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং, রোজ বুধ ও বৃহস্পতিবার সনাতনী ভাব গাম্ভীর্যের পরিচায়ক উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাধক ত্রিকালজ্ঞ মহাপুরুষ ভক্তবাঞ্ছাকল্পতরু মহাযোগীরাজ শ্রী শ্রীমৎ স্বামী গুরুদাস পরমহংস ( ফকির) বাবাজীর পরম পূর্ণময় ২০৭ তম শুভ আবির্ভাব ও ১২৫ তম তিরোভাব তিথি উদযাপিত হয়েছে । উক্ত পুন্যতিথি মাঘী পূর্ণিমা উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ফটিকছড়ির সুয়াবিল গ্রামে শ্রী শ্রী সুয়াবিল সিদ্ধাশ্রম মঠে ২দিনব্যাপি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান যাত্রার ১ম দিন ১৬ ই ফেব্রুয়ারি বুধবার ছিলো ব্রহ্মমুহুর্তে উষাকীর্তন, সকাল ১০ টা থেকে চন্ডী ও গীতা পাঠ এবং দুপুর ১ টায় শুরু হয় মহা ধর্ম সম্মেলন। এতে পৌরহিত্য করেন শ্রী শ্রী স্বামী দেবানন্দ মহারাজ জী। সন্ধ্যায় বাবার জীবনালোকে সংগীত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভজন ও সংগীত পরিবেশন করেন টিভি ও বেতার শিল্পীবৃন্দ। রাত নয়টায় অষ্টপ্রহর ব্যাপি মহা নামযজ্ঞের শুভ অধিবাস আরম্ভ হয়। পরিবেশনায় ছিলেন গৈরালা পটিয়া নিবাসী শ্রী কনক মঞ্জুরী চক্রবর্তী জী।
পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রহ্মমূহুর্তে অহোরাত্র মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রী শ্রী মদনমোহন পটিয়া,শ্রী শ্রী দয়ালকৃষ্ণ সম্প্রদায় চট্টগ্রাম,শ্রী শ্রী কৈবল্যনাথ সম্প্রদায় লক্ষীপুর,শ্রী শ্রী ভগবান সম্প্রদায় হাটহাজারী নামসূধামৃত বিতরণ করেন।
এই দুইদিন যথারীতি ভোগরাগ নিবেদন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ চলে।
দুই দিন ব্যাপি চলা এই মহা আয়োজনে হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দের সমাগম ঘটে এবং দোকানীরা তাদের নানা রকম পন্যের পসরা সাজিয়ে বসে প্রতি বারের মত।
আয়োজক কমিটির সূত্রমতে " গত বছরের মত এইবার ও করোনা পরিস্থিতির কারনে আয়োজন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হলেও সার্বিক ভাবে অনুষ্ঠান সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে"।
সাগর কান্তি দে, উপজেলা প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দর্পণ