নেত্রকোনাঃ জেলার পূর্বধলা উপজেলায় হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এসে বউ ছাড়াই বাড়ি ফিরে গেলেন বর। কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন বিয়ের আয়োজন পণ্ড করে দিয়েছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স এই বিয়ে পণ্ড করে দেন। এ সময় মেয়েটির মা ও বরের কাছ থেকে মুচলেকা নেন।

বরের নাম শাহজালাল। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মোহাম্মদ আলেক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু দিন আগে পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের প্রবাসী বাবুল তালুকদারের কিশোরী মেয়ে সোনিয়া আক্তারের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মোহাম্মদ আলেক মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী শাহজালালের বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। পূর্বধলা উপজেলার রাজপাড়ার পূর্বধলা জে এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন স্থানে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিকে মায়ের অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করে বর বিয়ে করে বউ নিতে আসেন হেলিকপ্টারে চড়ে। নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয় পুলিশ। মহা ধুমধামে  বাল্যবিয়ে হচ্ছে- এমন খবরে ঘটনাস্থলে হাজির হন পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স, পূর্বধলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল।

এ সময় ইউএনও কনের বয়স যাচাই করতে মায়ের কাছে প্রমাণ চান। পরে মেয়ের মা তার মেয়ের একটি জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করেন। সনদটি যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হলে ইউএনও বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং বর ও কনেপক্ষের মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে কনের জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই-বাছাই করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় দুই পক্ষের মুচলেকা নিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।


নয়ন বর্মন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি