ঢাকা: চাকরিচ্যুত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি বিভাগীয় মামলা স্থগিত করেছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ কথা জানান সচিব মাহবুব হোসেন।

সচিব আরও বলেন, চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া শরীফের বিরুদ্ধে চলমান তিনটি বিভাগীয় মামলা স্থগিত করা হয়েছে। একজন দুদক কর্মচারীর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতির পর বিভাগীয় মামলা চলতে পারে না। বিধি অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। তাই সব মামলা স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার শরীফ উদ্দিন চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে একটি আবেদন করেন। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় ও আমার কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন জনাব শরীফ। এ বিষয়ে কমিশনে আলোচনা হবে। বিধি মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিয়ে তবেই জানাতে পারব।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহর সই করা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত বছরের জুনে তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়েছিল।

শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪(২)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মো. শরীফ উদ্দিন, উপসহকারী পরিচালক, দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যক্রম, পটুয়াখালীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’ এ আদেশ ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ হয়। তবে প্রজ্ঞাপনে অপসারণের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

গত ৩০ জানুয়ারি দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন চট্টগ্রামের খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার নম্বর ১৬৪৫। জিডিতে তিনি পেট্রোবাংলার অধীনস্থ ‘কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (পিআরএল) মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সহযোগীর নাম উল্লেখ করেন। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবননাশের শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে জিডিতে তিনি নিরাপত্তা চেয়েছেন।


প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ