ঢাকাঃশুক্রবার (৬ মে) বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তীকালে আরও শক্তিশালী হয়ে রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’তে। প্রকট এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই সঙ্গে অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’র প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। জরুরি এক ক্ষুদেবার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপের অবস্থান দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর। এছাড়া আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এমতাবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। তবে আগামী শনিবার (৭ মে) থেকে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। সেই সঙ্গে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছিলেন, ‘দক্ষিণ আন্দামান সাগরের সম্ভাব্য লঘুচাপটি শুক্রবার সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপটি এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের দিকে মুখ করে আছে। এর গতিপথ একেক সময় একেক দিকে দেখাচ্ছে। কোন দিকে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে এখনও সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এটি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে যেতে পারে আবার পূর্বাঞ্চলেও যেতে পারে।’

এর আগে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই সংকেত কার্যকর ছিল।

এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে জানিয়ে এসব এলাকায় নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে, ৯৬ মিলিমিটার। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুর ও যশোরে, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


প্রতিবেদক , বাংলাদেশ দর্পণ