গাজা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুরযুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা দেখতে না পেয়েইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ।

তেল আবিবে রোববার সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারক্রান্ত হৃদয়েতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

দুর্ভাগ্যবশত, নেতানিয়াহু আমাদেরকে সত্যিকারের বিজয়ের দিকে যেতে বাধা দিচ্ছেন, যা চলমান বেদনাদায়ক সংঘাতকে সমর্থন করছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু এক্স পোস্টে লিখেছেন, “বেনি, যুদ্ধ থেকে সরে যাওয়ার সময় এখন নয়, যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেওয়ার সময় এটা।

নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গ্যান্টজ ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক চিফ অব স্টাফ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত তার মধ্যপন্থি দল ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি বিরোধী দলে ছিল। অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে যুদ্ধকালীন সরকার গঠনে সায় দেন। যুদ্ধকালীন সরকারে ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির পাঁচজন মন্ত্রী আছেন।

 ডানপন্থি জোট সরকারের এই শরিক নেতা এর আগে হুমকি দিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সায় দিলে তিনি পদ্যাগ করবেন এবং জোট সরকার ধসিয়ে দেবেন।

নেতানিয়াহু এসব মন্তব্যকেঅর্থহীন কথাবলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, এর অর্থ হবেইসরায়েলের জন্য পরাজয়

প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল নেতানিয়াহুর সমালোচক গ্যান্টজকেও যুদ্ধকালীন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হত।

সরকারে গ্যান্টজের যে প্রভাব, সেটা নেতানিয়াহুর জোট সরকারে ডানপন্থিদের কর্মকাণ্ডেভারসাম্যরাখছিল বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

গ্যান্টজের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি সরকারকে কোনো সমস্যায় ফেলবে না। কারণ নেসেটের ১২০ আসনের মধ্যে ৬৪ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে নেতানিয়াহুর।

তবে প্রধানমন্ত্রী যে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন এবং তার যুদ্ধ পরিচালনার কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আরও গভীর হচ্ছে, তা গ্যান্টজের এই সিদ্ধান্তে প্রকাশ পাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির চুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ইসরায়েল, মিশর, জর্ডান কাতারে তিন দিনের সফরের আগের দিন গ্যান্টজ পদত্যাগ করলেন।

ওই হামলার পর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অাভি রোজেনফেল্ডই প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রথম যোদ্ধা, যিনি পদত্যাগ করলেন।

 নিউজ ডেস্ক, বাংলাদেশ দর্পণ