ভোলা: ভোলার মনপুরায় মহানবী (সাঃ)-এর নামে কটূক্তিমূলক পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও হিন্দুদের দোকান-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত। কিন্তু থামেনি ক্ষোভ।
শুক্রবার (১৫ মে) জুমার নামাজের পরে মহানবী (সঃ)-কে কটূক্তি করার অভিযোগে মনপুরা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ব্যাপক বিক্ষোভ ও উত্তেজনা সামাল দিতে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা স্টাটাস ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগে শ্রীরাম চন্দ্র দাস (৩৫) নামে এক যুবককে দুপুরেই আটক করে পুলিশ।
দুপুরে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকাওয়াত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানান। কিন্তু সন্ধার পর থেকে গ্রেফতারকৃত শ্রীরাম চন্দ্র দাস-এর ফাঁসির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এসময় তারা আবারও হিন্দুদের কয়েকটি ঘর ভাংচুর করে। এতে চরম আতংকিত হয়ে পড়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৫ মে) জুমআর নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় মুসুল্লিরা। বিক্ষোভকারীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুইটি দোকান ভাংচুর করেছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন, ইব্রাহীম (৩৮), করিম (২৫), ছাইফুল (৩৫), রাজিব (১৯), আলাউদ্দিন (৪৭), সানাউল্লাহ (৩৩)। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত পুরো মনপুরায় পুলিশের টহল বাড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও সন্ধার পর থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু হয়। এসময় আবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি ঘর ভাংচুর করেন তারা। এতে পুরো মনপুরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে আতংকিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ভোলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন ভোলার হিন্দু নেতারা।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম। তারা এঘটনার সাথে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।