মহামারি আকারে ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করছে গোটা বিশ্ব। যুক্তরাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে প্রতিষেধক তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর একটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি অন্যটি হল ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন।
গত ২০ জানুয়ারি থেকে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছে অক্সফোর্ড। প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় এক হাজার জন। ভ্যাকিটেক আর অক্সফোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া অর্ধেককে। বাকিদের দেওয়া হবে মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন।
গত মার্চেই ১৮-৫৫ বছরের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া হয়। গত ২৩ এপ্রিল প্রথম ওই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে দুজনকে। দেখা হবে নতুন ভ্যাকসিন ওই ব্যক্তিদের কোভিড ১৯ এর সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবে কি না। ওই ব্যক্তিদের শরীরে জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে কি না, তাও পরীক্ষা করা হবে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন উৎপাদনের টিমে একমাত্র এবং প্রথম বাঙালি হলেন চন্দ্রা দত্ত। ভারতের কলকাতার গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে ২০০৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। পরে হেরিটেজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বি টেক সম্পূর্ণ করেন চন্দ্রা। খবর: বর্তমান।
২০০৯ সালে ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করেন তিনি। ২০১৯ থেকে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির জেনার ইনস্টিটিউটে ক্লিনিকাল বায়োম্যানুফেকচারিং বিভাগে কাজ করছেন তিনি। সঙ্গে পড়াশুনাও করছেন। এই ইনস্টিটিউটই কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করছে। চন্দ্রার বাবা মা থাকেন কলকাতায়।