ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলা দীর্ঘ লকডাউনে অস্বাভাবিকভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও শালিস কেন্দ্র, ব্র্যাকের মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিবেদনেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নারী ও মেয়ে শিশুর অধিকার ও নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রোগ্রামের সমন্বয়ক অর্পিতা দাস জানান, আগে যারা নির্যাতনের শিকার হতেন তারা এখন আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছেন। যারা নির্যাতিত হতেন না তারাও এসময় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেকের অভিযোগ ১০৯-এ ফোন করে কাজ হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে, গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে ৯৯৯-এ পারিবারিক সহিংসতা বিষয় দুই হাজার ৪৩৮টি, নারী নির্যাতনের ১ হাজার ৬৩৫টি, বাল্য বিয়ে ১ হাজার ৫৮৪, উত্ত্যক্ত ৩৬২টি এবং শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে ৫৭টি কল আসে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে ১১৪ দেশে ৪ কোটি ৭০ লাখ নারী ঘরে থাকার কারণে পরিবারপরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবে। ফলে ৭০ লাখ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ হবে ও অনিরাপদ গর্ভপাত বাড়বে।