ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

কোভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর সুস্থ হয়ে সোমবার (১৮ মে) বাসায় ফিরেছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি এদিন দুপুরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। এখন তাকে একদম করোনামুক্ত বলা যাবে।

গত ৩ মে রাতে কিছুটা অসুস্থ হয়ে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তাঁর করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ ছিল। এর পরদিন তার করোনা টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ আসে। সে মুহূর্তে অধ্যাপকের শ্বাসকষ্টের সঙ্গে হৃদযন্ত্রের কিছু জটিলতাও ছিল। 

মুগদা হাসপাতালে অধ্যাপকের চিকিৎসার প্রথম চারদিনে অবস্থার বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় ৭ মে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই তাকে মুগদা থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

সুস্থ হওয়ার পর অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তাঁর সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সিএমএইচের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এই অধ্যাপক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ না জানালেই নয়। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানাই। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় আমি আরোগ্য লাভ করেছি। এছাড়াও অগণিত মানুষ যারা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, মঙ্গল কামনা করেছেন- আমি তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।

গত ১৮ এপ্রিল মা জাহানারা খান কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন মুনতাসীর মামুন। সেখান থেকেই তিনি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা পরিবারের সদস্যদের।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় আর্কাইভসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো। ঢাকার ইতিহাস চর্চার জন্য মুনতাসীর মামুন প্রতিষ্ঠা করেছেন সেন্টার ফর ঢাকা স্টাডিজ (ঢাকা চর্চা কেন্দ্র)।