দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যখন মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে সেইসময়ও থেমে নেই সংখ্যালঘু নির্যাতন। গত তিন মাসের পরিসংখ্যান দেখলেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়। 

আর এ নির্যাতন থেকে পার পায়নি তরুণ কুমার বিশ্বাস। তরুণ কুমার বিশ্বাস যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর উপার্জনের একমাত্র সম্বল ছিল তাঁর মুদি দোকান।সেই দোকানটি গত শনিবার ( ৪ জুলাই) রাতে পেট্রোলের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এই দোকানের রোজগারে টাকাতে চলতো পরিবারের ভরণপোষণ। উপার্জনের সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা তরুন কুমার ও তার অসহায় পরিবার।

ভুক্তভোগী তরুন কুমার দীর্ঘঃশ্বাসের সাথে জানান," এখন আমার পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন চালবে? কিভাবে তাদের মুখে দুটো খাবার তুলে দেবো?"

অন্যদিকে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার সাহেবকে জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান বলেন,"এই ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই,আর সরকারের পক্ষ থেকেও নাকি কোনো কিছু করার নেই এই বলে ফোন কেটে দেন তিনি"। এমনকি দুজন জনপ্রতিনিধি সরেজমিনে এসেও দেখেননি। অথচ জনগনের যেকোনো দূর্যোগের তাদের সহযগিতা করার নির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি এখানে?

সংসার কিভাবে চলবে,কিভাবে আবারও ঘুরে দাড়াবে তরুন কুমারের পরিবার? যেন এক ধোঁয়াশার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে তরুন কুমারের জীবন।

সন্দীপ মন্ডল, যশোর প্রতিনিধি | বাংলাদেশদর্পণ.কম