প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী কাইতলা জমিদার বাড়ি টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নূরনগর এলাকায় অবস্থিত। 

তৎকালীন ত্রিপুরার রাজা বিরেন্দ্র কিশোর মানিক্যের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই জমিদার বাড়িটি এখন বিলুপ্তির পথে।  জমিদার বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী এখানে তাঁর বসতি নির্মাণ করেছিলেন। একসময় কাইতলার প্রাণ কেন্দ্র ছিল এই প্রাসাদ। ১৩১৯ সাল থেকে ১৬৬৬ পর্যন্ত ২৪ জন রাজা বৃহত্তর কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শাসন করেন। রাজাদের অধীনে থাকতেন জমিদাররা। 

কালের সাক্ষী নবীনগরের কাইতলা জমিদার বাড়ি | সাপ্তাহিক গণবিপ্লবসাপ্তাহিক  গণবিপ্লব

বর্তমানে বিত্ত-বৈভব , দরবারি রূপ,ঐতিহ্যময় জৌলুস হারিয়ে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে জমিদার বাড়িটি। বর্তমানে এই বাড়িটি “বড় বাড়ি” নামে পরিচিত। জমিদার বিশ্বনাথ রায় চৌধুরীর ছিলেন তিন পুত্র যথা-১. তিলক চন্দ্র রায় চৌধুরী ২. অভয় চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং ৩. ঈশান চন্দ্র রায় চৌধুরী। তিলক চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং  অভয় চন্দ্র রায় চৌধুরী দুজনেই ছিলেন নিঃসন্তান । অভয় চন্দ্রের তি পুরুষ পর জমিদার বংশের একমাত্র উত্তরসূরি হন অতিন্দ্র মোহন রায় চৌধুরী। অতিন্দ্র মোহন রায় চৌধুরী এলাকায় হারু বাবু নামে পরিচিত চিলেন। তিনিও ছিলেন চির কুমার। ২০০১ সালে তা৭র মৃত্যুর পর নিবে যায় জমিদার বংশের প্রদীপ। 

জমিদার বাড়ির কিছু দুর্লভ ছবি - কাইতলা জমিদার বাড়ির ইতিহাসঃএস এম শাহনূর। |  Facebook

একসময় যে জমিদার বাড়ি ছিল মানুষের প্রাণ কেন্দ্র সেই বাড়ি আজ ধ্বংস হতে বসেছে। অথচ এক সময় ছিল যখন এই জমিদার বাড়ির নামে মানুষ ছড়া কাটতো।